নিরামিষ কোফ্তা কারি

শৌখিন এই পদটি এককালে বাঙালির রান্নাঘরে জাঁকিয়ে বসেছিল। বিশেষ বিশেষ দিনে পঞ্চব্যঞ্জনের এক হয়ে জামাইয়ের পাতে এর জায়গা হত অথবা খান্ডারনি নিরামিষাশী পিসির হাতের এই রান্নাটি চাখতে ছেলেপুলের দল সাগ্রহে অপেক্ষা করে থাকত।

উপকরণ

নানারকম সব্জি ব্যবহার করা যায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। আজকে আমি যা ব্যবহার করেছি- কাঁচাকলা- ২ টি গাজর- আস্ত, খোসা ছাড়ানো ২ টি ক্ড়াইশুঁটি- আধ কাপ আলু- সাইজ অনুযায়ী, পরিমাণ মত, কয়েকটা সেদ্ধ করতে আর কয়েকটা ডুমো ডুমো করে কেটে রাখা। বিণ- আট, দশটা পনীর- আধ কাপ আদা- চারচামচ নুন-পরিমাণ মত হলুদ-পরিমাণ মত কাঁচা লঙ্কা- পরিমাণ মত ট্যমেটো- ২, ৩ টি ধনেপাতা- আধ কাপ ঘি- এক চামচ হিং- এক চিমটে আমন্ড বাদাম- পাঁচ, ছয়টি, পেষ্ট বানিয়ে নেবেন। চিনে বাদাম- পাঁচ, ছয়টি, শুকনো তাওয়ায় নেড়ে দানাদানা করে গুঁড়ো করে নেওয়া। আস্ত জিরে- এক চামচ জিরে, ধনে, গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা- পরিমাণ মত, শুকনো তাওয়ায় নেড়ে পিষে আলাদা করে রাখতে হবে। তেজপাতা-২ টি চিনি- এক চিমটে ক্যানোলা বা সাদা তেল-পরিমাণ মত।

প্রণালী

আলু আর কাঁচাকলা সেদ্ধ করে নেবেন, বাকী সব সব্জি স্টিম করে নেবেন ছোট ছোট করে কেটে। একটি পাত্রে সব সব্জিগুলি চোটকে মাখুন নুন, চিনি, ধনেপাতা,পনীর, কাঁচালঙ্কা, দুই চামচ আদা আর চিনে বাদামের সাথে। কোফ্তার আকারে গড়ে নিন। প্যানে তেল গরম করে কোফ্তাগুলি সাবধানে এপিঠ ওপিঠ লালচে করে ভেজে নিন। ডুমো ডুমো করে কাটা আলু নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলুন। কড়াইতে তেল গরম হলে হিং , জিরে, শুকনো লঙ্কা, গরম মশলা ফোরণ দিন। আদা দিন, আমন্ড পেষ্ট দিন। ভালো করে মেশান। সুগন্ধ বেরোলে ট্যমেটো দিন কেটে। ট্যমেটো গলে গেলে গরম জল দিন কাপ দুয়েক। হলুদ দিন। জল ফুটতে শুরু করলে আলু দিন। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে চিনি দিন একটু। ঝোল ঘন হয়ে এলে একটি পাত্রে কোফতাগুলো সাজিয়ে ওপর থেকে ঝোলটা ঢেলে দিন। ঘি ছড়িয়ে দিন। জিরে, ধনে, গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। গার্নিশ করুন ধনেপাতা দিয়ে।

Comments